এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম

এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম















এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম অনেকের জানা না থাকায় কোনো আকস্মিক সমস্যার সম্মুখীন হলে তারা এর সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানার জন্য বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধান করে থাকে। তারা বিভিন্ন যায়গায় এর নিয়ম দেখলেও , মনের সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে না। কেননা দরখাস্ত যত সাবলিল ভাষায় লেখা হয় এবং মার্জিত শব্দ ব্যাবহার না করা হয় ততখোন পরযন্ত এসব ক্ষেত্রে বাএদন গ্রহণযোগ্যতা পাবে কিনা তা নিয়ে কৌতূহল থেকে যায়। দরখাস্ত ছাত্র জীবন থেকে শুরু করে কর্মজীবন পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে প্রয়োজন। সমাজে বা এলাকায় অনেক সময় নানা অসুবিধা বা প্রয়োজনিয়তার ক্ষেত্রে এমপি বরার দরখাস্ত লেখার দরকার হয়। তখন এর সঠিক নিয়ম কোনট্টি সেটি নিয়ে সকলে বিচলিত হয়ে পরে। তাই,

                         এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম

এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার একটি নিয়ম সমুনাসহ বর্বণা করা হলো-

তারিখঃ ৮,০১,২০২৪

বরারবর

এমপি

(উপজেলা/থানা এবং জেলা)

বিষয়ঃ (আসুবিধা) চিকিৎসার উন্নয়নে হাস্পাতাল স্থাপন এর জন্য আদেবন। 

মহোদয় / জনাব,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমরা আপনার ( উপজেলা / থানার নাম ) বাসিন্দা । এই উপজেলায় মাত্র ৩ টি হাসপাতাল রয়েছে । চিকিৎসার প্রয়োজনে পুরো উপজেলার সকল মানুষকে এই ৩ টি হাসপাতাল এর শরণাপন্ন হতে হয় । কিছু গ্রাম অনেক দূরে হোয়ায়, প্রয়োজনে কাছা কাছি কোথাও সময়ের মধ্যে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পরে। এবং হাসপ[আতাল সংখ্যা কম থাকায় দেখানে প্রায়ই অধিক ভীড় হয় এবং অসাস্থকর পিরিবেশ সৃষ্টি হয়। এর ভলে অগণিত মানুষ চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

বিনীত নিবেন এই যে, উক্ত উপজেলায় আরও একটি হাসপাতাল স্থাপনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ এর চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করে বাধিত করবেন।

উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে নিবেদনকারী,

রফিকুল ইসলাম (আপনার নাম )

(পিতার নাম )

গ্রাম ঃ (গ্রামের বা এলাকার নাম )

উপজেলা ঃ (উপজেলার নাম )

মোবাইল ঃ ০১৮৭২******* 

এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম জানা প্রয়োজন কেনো-

এলাকার বা গ্রামের নানা অসুবিধার সমাধান পাওয়ার জন্য সেই এলাকা গ্রামের পক্ষ থেকে এমপির নিকত দরখাস্ত লেখা হয়ে থাকে, তাদের সমস্যার কথা বর্ণনাস্বরূপ । এক্ষেত্রে সঠিক নিয়ন অনুযায়ী যদি দরখাস্ত লেখা না হয় তাহলে দরখাস্তটির গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। সঠিক নিয়ন জানার আরও প্রয়োজন কেননা , সঠিক নিয়ম অনুসরন এর মাধ্যমে অসুবিধার কথা ব্যাক্ত করা সহয় হয়। ফলস্বরূপ পাঠকের নির্দিষ্ট অসুবিধা বুঝে তা সমাধানের জন্য নির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে । 

এমপি বরাবর দরখাস্ত লেখার নিয়ম বিস্তারিত-


আমাদের প্রায় বিভিন্ন বিষয়ে বা বিভিন্ন কারণে আবেদন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ সময়  প্রায় সব আবেদন পত্রের নিয়ম একই হয়ে থাকে, তবে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আনুসরন করে প্রায় সকল আবেদন পত্র লেখা হয়। আবেদন পত্রের নিয়ম ঠিক না থাকলে তা গ্রহণযোগ্যতা পায় না। আবেদন পত্রের নিয়ম বিস্তারিত এবং আবেদন পত্র লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-  

  1. একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদন পত্র এক পেজের মধ্যে লিখে শেষ করা। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অপর পেজে না যাওয়া।  তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে  বাম পেজ থেকে লেখা শুরু করা উচিৎ । যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয় তবে বাম পেজ থেকে ডান পেজে যেতে পারবে। 
  2. সর্বপ্রথম আমাদের যা মনে রাখতে হবে তা হলো। সকল তথ্য বাম দিক থেকে লিখতে হবে। অনেক সময় অনেকে ভুলবশত তারিখ বা ঠিকানা ডানদিকে লিখে থাকে যা সম্পূর্ণ ভুল একটি পদ্ধতি। তখন কিছু বাম দিকে লিখতে হবে। 
  3. তারপর বরাবর ।
  4. বরাবর এর পর যার কাছে আবেদনপত্র লিখব তা লিখতে হবে। যদি বিদ্যালয় হয় তবে বেশিরভাগ সময় প্রধান শিক্ষক লেখা হয় । তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেক করা থাকে, কার কাছে আবাদন পত্র লিখতে হবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যার কাছে আবেদন পত্র লিখতে চাচ্ছি তার পদ এর নাম লিখতে হয়। তবে যেহেতূ এটি এমপি বরাবর লেখা হচ্ছে, তাই বরাব্র এর পর এমপি লিখতে হবে। 
  5. তারপর সাধারণত প্রতিষ্ঠানের নাম হয়। তবে যেহেতু এটি এমপি বরার এলাকা বা উপজেলার সমস্যা সমাধানের জন্য লেখা হচ্ছে, তাই জেলা এবং উপজেলা বা থানার নাম লিখতে হবে। 
  6. এর পর বিষয় ।
  7. তারপর হয়তো মহোদয় বা জনাব যে কোনো একটি লিখতে হবে। এবং এর পর কমা (,) ব্যাবহার করা অত্যাবশ্যক । 
  8. তারপর সর্বশেষে বিনীত নিবেদন এই যে - এর পর কমা (,) ব্যাবহার করা অত্যাবশ্যক । এবং শেষ এ উপরের নমুনা অনুযাই লিখতে হবে। 
  9. যদি আবেদন পত্র হাতে লিখে থাকেন তবে সকল প্রকার কাটাকাটি বর্জন করতে হবে। এবং বানান এর শুদ্ধতা ও মার্জিত হাতের লেখার দিকে বিশেষ নজর অর্পণ করতে হবে। আর কম্পিউটার দিয়ে টাইপ এর মাধ্যমে করে থাকলে অবশ্যই বানানের দিকে নজর রাখতে হব এবং টাইপিং মিস্টেক এড়িয়ে চলতে হবে। এরুপ সমস্যা এড়াতে আবেদন পত্রটি লেখার পর পুনরায় রিডিং পরার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করুন এবং বেশি প্রয়োজনে নতুন করে আবার লিখুন। 
  10. আবেদন শেষে প্রয়োজনীয় সংযুক্তি যোগ করতে হবে।

 পরিশেষে-

সুপ্রিয় , আশা করি আমার লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের সুবিধার্থে সকল প্রকার অপ্রয়োজনীয় কথা বর্জন করে, সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো এখানে দেয়া হয়েছে। নৈমিত্তিক ছুটির আবেদন লেখার সকল নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং কোন ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে সেগুলো উল্লেখপূর্বক সমাধানও প্রদান করা হয়েছে। আরো এমন সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নজর রাখুন। এবং আপনাদের মতামত প্রদান করুন। ধন্যবাদ ।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url