জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখা ছাত্র - ছাত্রী দের জীবনে নতুন কোনো ঘটনা বা বিষয় নয়। আবহাওয়া জনিত কারনে বা জলবায়ুর পরিবর্তনসহ নানা কারনে সাধারণ জ্বর হয়ে থাকে অনেক সময় । তখন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না । এমন সময় আবেদন পত্রের সঠিক নিয়ম জানা না থাকায় অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে থাকে । কেননা আমরা জানি আবেদন পত্র বা দরখাস্তে সঠিক নিয়ম অনুযাই না লিখলে তা গ্রহণযোগ্যতা পায় না। এটি শুধুমাত্র যে ছাত্র - ছাত্রীদের ক্ষেত্রেই যে প্রযোজ্য এমন নয়, অনেক সময় বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক কর্মচারীদের ও এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে বেশীরভাগ সময়ই শিক্ষার্থীরা এটির প্রয়োজনীয়তা বেশী বোধ করে থাকে।তাই ,

জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

জ্বর থাকার কারণে স্কুল অনুপস্থিতির জন্য আবেদন কিভাবে লিখবেন সেটির নমুনা অনেকেই দেখতে চান। তাই আপনাদের সুবিধার্থে নিচে নমুনা সহ একটি আবেদন দেওয়া হলো যেটিকে আপনারা নিজেদের মতো পরিবর্তন করে ব্যবহার করতে পারেন।

জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্তর নমুনা 


তারিখঃ ৮,০১,২০২৪

বরারবর

(প্রধান শিক্ষক / প্রধান অধ্যক্ষ )

(প্রতিষ্ঠানের নাম)

(ঠিকানা)

বিষয়ঃ (ছুটির দিনের সংখ্যা) জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

মহোদয়,

সবিনয় নিবেদন এই যে, আমি আপনার অত্র প্রতিষ্ঠানের একজন নিয়মিত ( কর্মী / কর্মচারী / শিক্ষার্থী / ছাত্র / ছাত্রী )। কিন্তু বিগত ৫ জানুয়ারি ২০২৪ হতে ৭ জানুয়ারি ২০২৪ পর্যন্ত (বেক্তিগত কিছু কারণে অসুস্থতা জনিত কারণে) আমি অত্র প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারিনি। 

বিনীত নিবেদন এই যে, আশা করি আমার  উক্ত ৩ দিনের ছুটি মঞ্জুর করে বাধিত করবেন। 

বিনীত নিবেদক,
রফিকুল ইসলাম (আপনার নাম )

(শ্রেনী, রোল,ক্লাস, সেকশন)

(রোল/আইডি নং) 


জ্বর থাকার কারনে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত

 প্রয়োজন কেনো 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রী বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ্মানুষ এর প্রায়ই অনাবশ্যক বা অপ্রত্যাশিত কিছু কারনে নিজের কর্মসংস্থান এ উপস্থিত থাকা সম্ভব হয় না। বেশীরভাগ সময় আবহাওয়া বা জলবায়ু খারাপ থাকার কারনে জ্বর হয়ে থাকে । এবং ঘটনাগুলো আকষ্মিক ভাবে ঘটে যাওয়ায় প্রতিষ্ঠানে জানানো সম্বভ হয় না। তখন নির্ধারিত ছুটি মঞ্জুর এর জন্য আমাদের আবেদন করা অত্যাবশ্যক হয়ে থাকে। নতুবা এর পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের জরিমানা প্রদান করতে হয় । বিদ্যালয়য়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আবেদন পত্র লেখা তেমন কোনো ব্যাপার না হলেও, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কর্মীদের জন্য আবেদন পত্র লেখা নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পরতে হয়। কেননা, আবেদন পত্রের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে তা গ্রহণযোগ্যতা পায় না। তাই আবেদন পত্রের সঠিক নিয়ন বজার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নীচে আবেদন পত্রের নিয়ম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো। 

জ্বর থাকার কারনে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখার নিয়ম

বিস্তারিত-

জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত বা আবেদন পত্র লেখার প্রয়োজন হয়। বেশিরভাগ সময়  প্রায় সব আবেদন পত্রের নিয়ম একই হয়ে থাকে, তবে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আনুসরন করে প্রায় সকল আবেদন পত্র লেখা হয়। আবেদন পত্রের নিয়ম ঠিক না থাকলে তা গ্রহণযোগ্যতা পায় না। প্রাত্যহিক জীবনে আবেদন পত্রের ব্যাবহারিক দিক এর পাশাপাশি বিদ্যালয় এর প্রাতিষ্ঠানিক মূল্যায়ন গুলোতেও প্রশ্ন আকারে আবেদন পত্র লিখতে বলে থাকে । তাই আবেদনপত্রের সঠিক নিয়ম জানা বাঞ্ছনিয়। আবেদন পত্রের নিয়ম বিস্তারিত এবং আবেদন পত্র লেখার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হলো-  

  1. একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আবেদন পত্র এক পেজের মধ্যে লিখে শেষ করা। খুব বেশি প্রয়োজন না হলে অপর পেজে না যাওয়া।  তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে  বাম পেজ থেকে লেখা শুরু করা উচিৎ । যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয় তবে বাম পেজ থেকে ডান পেজে যেতে পারবে। 
  2. সর্বপ্রথম আমাদের যা মনে রাখতে হবে তা হলো। সকল তথ্য বাম দিক থেকে লিখতে হবে। অনেক সময় অনেকে ভুলবশত তারিখ বা ঠিকানা ডানদিকে লিখে থাকে যা সম্পূর্ণ ভুল একটি পদ্ধতি। তখন কিছু বাম দিকে লিখতে হবে। 
  3. তারপর বরাবর ।
  4. বরাবর এর পর যার কাছে আবেদনপত্র লিখব তা লিখতে হবে। যদি বিদ্যালয় হয় তবে বেশিরভাগ সময় প্রধান শিক্ষক লেখা হয় । তবে প্রাতিষ্ঠানিক পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেক করা থাকে, কার কাছে আবাদন পত্র লিখতে হবে। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে যার কাছে আবেদন পত্র লিখতে চাচ্ছি তার পদ এর নাম লিখতে হয়। 
  5. তারপর প্রতিষ্ঠানের নাম ।
  6. নাম এর পর আসে ঠিকানা । এখেত্রে প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হয়। এটি কোন জেলার বা থানার, এমন কিছু ।
  7. এর পর বিষয় ।
  8. তারপর হয়তো মহোদয় বা জনাব যে কোনো একটি লিখতে হবে। এবং এর পর কমা (,) ব্যাবহার করা অত্যাবশ্যক । 
  9. তারপর সর্বশেষে বিনীত নিবেদন এই যে - এর পর কমা (,) ব্যাবহার করা অত্যাবশ্যক । এবং শেষ এ উপরের নমুনা অনুযাই লিখতে হবে। 
  10. যদি আবেদন পত্র হাতে লিখে থাকেন তবে সকল প্রকার কাটাকাটি বর্জন করতে হবে। এবং বানান এর শুদ্ধতা ও মার্জিত হাতের লেখার দিকে বিশেষ নজর অর্পণ করতে হবে। আর কম্পিউটার দিয়ে টাইপ এর মাধ্যমে করে থাকলে অবশ্যই বানানের দিকে নজর রাখতে হব এবং টাইপিং মিস্টেক এড়িয়ে চলতে হবে। এরুপ সমস্যা এড়াতে আবেদন পত্রটি লেখার পর পুনরায় রিডিং পরার মাধ্যমে ভুল সংশোধন করুন এবং বেশি প্রয়োজনে নতুন করে আবার লিখুন। 
  11. আবেদন শেষে প্রয়োজনীয় সংযুক্তি যোগ করতে হবে। যেমন, অসুস্থতার জন্য হলে, ডাক্তারের প্রেসস্কিপ্সন যোগ কর‍তে হবে। যেহেতু জ্বর এর কারনে অনুপস্থিত , তাই ডাক্তার এর  প্রেসস্কিপ্সন যোগ করা অত্যাবশ্যক । 
    পরিশেষে-
সুপ্রিয় , আশা করি আমার লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের সুবিধার্থে সকল প্রকার অপ্রয়োজনীয় কথা বর্জন করে, সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো এখানে দেয়া হয়েছে।জ্বর থাকার কারণে স্কুলে অনুপস্থিতির জন্য দরখাস্ত লেখার সকল নিয়ম বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং কোন ক্ষেত্রে ভুল হতে পারে সেগুলো উল্লেখপূর্বক সমাধানও প্রদান করা হয়েছে। আরো এমন সব তথ্য পেতে আমাদের ওয়েব সাইটে নজর রাখুন। এবং আপনাদের মতামত প্রদান করুন। ধন্যবাদ ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url